course

পরিবারে মত প্রকাশের স্বাধীনতার সংস্কৃতি চর্চা

একথা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই যে, ডিজিটাল যুগে বর্তমানে তরুণ-তরুণীরা যে একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল জটিল ও বহুমাত্রার জীবনের সাথে সংযুক্ত হয়ে যাচ্ছে সেখানে তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও পেশাগত বহু বিষয়ে প্রতিদিন সঠিক ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া শিখতে হবে। শাসনব্যবস্থা, সমাজ ও রাজনীতিকে সহযোগী ও ব্যক্তির জন্য ইতিবাচক হতে গেলে সমাজ ও রাজনীতির সাথে ব্যক্তির নিয়মিত উভয়মুখী সংযোগ থাকতে হবে। এর জন্য মত প্রকাশের স্বাধীনতার সাংস্কৃতি চর্চার বাধার বিষয়টি অভিভাবকদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। বাসায় যে তরুণ-তরুণীদের তাদের স্বাধীন মতামত প্রদানের জন্য হেনস্তা বা অপমানিত করা হয়, সে পরবর্তীতে নিজের জীবনে বিভিন্ন বিষয়ে মত প্রকাশের দ্বিধা বোধ করতেই পারে। _______________________________________________________________________________

মত প্রকাশের স্বাধীনতার সাথে তরুণদের সমালোচনামূলক চিন্তা (critical thinking), বুদ্ধিগত উৎকর্ষতা, নেতৃত্বের যোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। বিতর্ক ও ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতার চর্চার মাধ্যমে জটিল বিষয়ে অপেক্ষাকৃত সফল সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। এর সাথে সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত না হয়ে সামগ্রিক হয়, ফলে সফলতা ব্যর্থতা সকলে ভাগ করে নিতে পারে। এতে দলীয় সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি পায়। এটি যেমন তরুণদের ব্যক্তিগত, সামাজিক উৎকর্ষতায় অবদান রাখে, তেমনই তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগ্রহণ ও পরবর্তীতে কর্মস্থলে টিম ওয়ার্কে ও নেতৃত্ব গ্রহণে সহায়তা করে। পরিবারে মত প্রকাশের স্বাধীনতার চর্চায় অভিভাবকেরা পরিবারের সংস্কৃতিতে এটা অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এর জন্য:

১। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে উৎসাহ দিতে হবে
২। পরিবারের বিশেষ সিদ্ধান্তগুলোতে কিশোর
-তরুণদের মতামত নেবার অভ্যাস তৈরি করতে হবে
৩। যুক্তি
-তর্কের মাধ্যমে সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেবার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে
৪। মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অপরের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে

৫। স্বাধীন মত প্রকাশের কারণে অপর
কেউ যেন অপমানিত, নির্যাতিত ও মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত না হয় সেটা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে
৬। এমপ্যাথি মত প্রকাশের স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় সহায়
, পরিবারে এমপ্যাথির সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে
৭। পরিবারে বা অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতার চর্চায় সহনশীলতা সবচেয়ে বড় সহায়ক
, পরিবারে সহনশীলতার চর্চা করতে হবে।